
প্রকাশিত: Tue, Dec 12, 2023 10:41 PM আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 7:56 PM
জাপা বেঁকে গেলেও জনগণ বিশ^াস করে নির্বাচন হবেই
দীপক চৌধুরী : বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনাদলগুলোর মূল সমস্যা কোথায়? তারা দ্রুত ক্ষমতায় বসতে চায়। কিন্তু কীভাবে ক্ষমতায় বসবে দলগুলো? তৃণমূলে তাদের অবস্থান কতটা দুর্বল বুঝতে পারছে না। আর জাতীয় পার্টি কী চায়? জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের ভাগাভাগি চান। দলের নেতা মুজিবুল হক প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘আমরা সাবালক হয়েছি।’ এর মানে আগে তারা নাবালক ছিলেন। আসলে এখনো দলটির কিছু কিছু নেতার কথায় ও ইচ্ছায় প্রমাণ হয়Ñ এখনো নাবালক রয়েছে জাপা। এখন বাচ্চাদের মতো আচরণ শুরু করেছে দলটি। আসন সমঝোতা চায়। এতটুকু ভরসা নেই নিজ দলের প্রতি। শোনা যায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজদলের নেতা ও মন্ত্রীদের বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করা যায় না। একটি সূত্র জানাচ্ছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেশ কিছু পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। কয়েকজন মন্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যেতে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। মন্ত্রীদের অনুরোধ নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে কী করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতীয় পার্টি রওশন এরশাদ, তাঁর ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ (শাদ এরশাদ) ও মসিউর রহমানকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রেখেছে। তারা কখন কী করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সূত্রমতে, শেখ হাসিনা নাকি আরও বলেছেন, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। নির্বাচন হবেই। আর সবাইকে সেদিকেই যেতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টি কয়েক দফায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ৭ জানুয়ারির ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়েই মূলত সেসব বেঠকে আলোচনা হয়েছে। আসলে জাতীয় পার্টিরও নিজেদের ওপর ভরসা নেই এখন। তবে এটাও শোনা যায়, জাতীয় পার্টি ভেঙে যাবে। রওশন এরশাদ বড় একটি গ্রুপ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। জাপার একাংশ নির্বাচনে না এলে নির্বাচন হবে না এটা মানুষ বিশ^াসই করে না। জনগণ বিশ^াস করে নির্বাচন হবেই। মানুষকে কাছে টানবার মতো যোগ্যতা জাতীয় পার্টি, বিএনপি, ইসলামপন্থী দলগুলোর নেই। দলগুলোর নেতাদের অনেকেরই নিজ এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা নেই। অর্জন করা হয়নি। এটা চিরন্তন সত্য। রাজনীতিতে অতীতের ক্রোধ-দুঃখ-ক্ষুধা-স্বাধীনতাসহ সার্বিক অবস্থা কিন্তু জামায়াত-বিএনপির জানা। এসব দল বাংলাদেশ নিয়ে কত রকম স্বপ্ন দেখেছিল। পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন এখনো তারা দেখে। সেসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা এখন খুবই কঠিন এটা বুঝতে পেরেই তাদের মরণকামড়। লড়াকু বাঙালি বুঝে গেছেÑ ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য। নির্বাচন প্রতিহত করার প্রস্ততি হিসেবে বাসে আগুন দিয়ে, মানুষ মেরে, রাজপথে আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালিয়ে বা হুঙ্কার দিয়ে লাভ হবে কী? নির্বাচন ঠেকানো কঠিন কাজ। কারণ এখন জাতীয় নির্বাচন তৃণমূলের কাছে চলে গেছে। প্রতিদিন গ্রামে-গঞ্জে মিছিল-মিটিং হচ্ছে। নির্বাচন ঠেকানোর কথা তৃণমূলে উচ্চারণ করার শক্তিও নজরে পড়ে না। এই আয়োজন ঠেকানোর লক্ষ্যে শব্দ করলেই ‘লাঠ্যাষৌধ’-এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভোটানুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা চায়ের দোকানে, টং-দোকানে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্টেশনারী দোকান ঘরে। সাধারণের বাড়িঘরে।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তৃণমূলে বিএনপি, জাতীয় পার্টি আর জামায়াতে ইসলাম নিয়ে ইদানিং বেশি আলোচনা হচ্ছে। শহরভিত্তিক রাজনীতিতে বিএনপির বিষয়ে বা জামায়াতের বিষয়ে নানারকম দৃশ্য আমরা দেখি। টিভিতে বা পত্র-পত্রিকার খবরে এসব দলের কার্যক্রম দেখা যায়, মিছিল দেখা যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, রাজধানী বা বিভাগীয় শহর বা জেলায় শহরে বিক্ষোভ দেখা গেলেও গ্রামগঞ্জে এর কোনো প্রভাবই নেই। এর কারণও রয়েছে। জনগণ এখন জেনে গেছে, জামায়াত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এটা আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশের কাছেও পরিচিত। তা কিন্তু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতও বলে দিয়েছেন। আর এটাও বলা দরকার যে, সর্বোচ্চ আদালতই বাতিল করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টিও। আসলে বিএনপি-জাতীয় পার্টি তো মুদ্রার দুই পিঠ। স্বৈরাচার এরশাদ সম্পর্কে দেশের জনগণ সতর্ক। যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের দল কী রকম সন্ত্রাসী এটা নতুন করে বলার দরকার নেই। ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার মানবাধিকার লংঘনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া বিএনপিরও কয়েকজন আছে। লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক ও ফিল্মমেকার
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
